ঢাকারবিবার, ৮ই জুন, ২০২৫

হেরোইন দিয়ে স্বামীকে ফাঁসাতে গিয়ে ফাঁসলেন স্ত্রী

নিজস্ব প্রতিবেদক
মার্চ ১৫, ২০২২ ৩:১১ অপরাহ্ণ
শেয়ার করুন:-
Link Copied!

প্রথম স্ত্রীর অনুমতি ছাড়াই দ্বিতীয় বিয়ে করেন মোঃ সোহেল বাবু, এতে রাগান্নিত হয়ে হেরোইন দিয়ে স্বামীকে ফাঁসাতে গিয়ে ফাঁসলেন স্ত্রী।

প্রথম স্ত্রী নাসরিন বেগম (২২)। সেই ক্ষোভের বশবর্তী হয়ে স্থানীয় এক মাদক ব্যবসায়ীর সহায়তায় বাড়িতে হেরোইন রেখে পুলিশে খবর দেন তিনি।

তবে এই ঘটনাটি গোয়েন্দা পুলিশের সন্দেহ হওয়ায় স্থানীয় ব্যক্তিবর্গসহ নাসরিন বেগমকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। এতেই বেরিয়ে আসে আসল তথ্য। পরে প্রথম স্ত্রী নাসরিন গোয়েন্দা পুলিশের জিজ্ঞাসাবাদে স্বীকার করেন স্বামীকে ফাঁসানোর জন্যই এই হেরোইন নাটক।

আরও পড়ুনঃ কুষ্টিয়ার খোকসাতে গৃহবধুর রহস্যজনক মৃত্যু,পরিবারের দাবি হত্যা

সোমবার (১৪ মার্চ) সন্ধ্যার দিকে চন্দ্রিমা থানাধীন আসাম কলোনীর বউবাজার এলাকায় ঘটনাটি ঘটে। পরবর্তীতে ওই রাতে মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের জিজ্ঞাসাবাদে সত্য ঘটনার উন্মোচন হওয়ায় উল্টো গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) হাতে গ্রেফতার হন বাবুর স্ত্রী নাসরিন বেগম।

মঙ্গলবার (১৫ মার্চ) সকালে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের উপ-পুলিশ কমিশনার মোঃ আরেফিন জুয়েল।

ঘটনা সম্পর্কে তিনি বলেন, নাসরিন বেগমের স্বামী মোঃ সোহেল। সোহেল পেশায় একজন পুরনো কাপড়ের ব্যবসায়ী। ছয় বছরের সংসার এবং এক সন্তান রয়েছে তাদের। এরই মাঝে নাসরিনের অনুমতি ছাড়াই তারই (প্রথম স্ত্রীর) মামাতো বোনকে বিয়ে করে সোহেল। এতে রাগের বশবতী হয়ে স্থানীয় এক মাদক ব্যবসায়ী রুবেলের দ্বারা প্ররোচিত হয়ে নিজ ঘরে ১০ গ্রাম হেরোইন রেখে খবর দেন গোয়েন্দা পুলিশে। খবর পেয়ে আমাদের একটি টিম ঘটনাস্থলে পোঁছে তাদের দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে মাদক উদ্ধার করে।

পরে সোহেল ও স্থানীয়দের জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায়, সে (সোহেল) মাদকের সঙ্গে কোনোভাবেই সম্পৃক্ত না। এমনকি সে সিগারেট পর্যন্ত খায় না। এতে আমাদের সন্দেহ হয়। পরবর্তীতে ঘটনার গভীরতর অনুসন্ধানের জন্য সোহেলের স্ত্রীকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়।

জিজ্ঞাসাবাদে সে (নাসরিন) স্বীকার করে, তারই ১৫ বছর বয়সী মামাতো বোনকে বিয়ে করে স্বামী সোহেল। এতে স্থানীয় মাদক ব্যবসায়ী রুবেল নামের এক ব্যক্তির কাছ থেকে মাদক নিয়ে গোয়েন্দা পুলিশ দিয়ে স্বামীকে জেলে পাঠানোর পরিকল্পনা করেছিলেন তিনি। তবে বিষয়টি আমরা অনুধাবন করায় সে নিজের জালে নিজেই ফেঁসে গেছে।

এদিকে মুঠোফোনে কথা হয় পুলিশের সোর্স পরিচয়দানকারী মাদক ব্যবসায়ী ও ঘটনার মূল পরিকল্পনাকারী রুবেলের সঙ্গে। তিনি বলেন, নাসরিন আমার ভাগ্নি হয় এবং সোহেল আমার জামাই। এ ঘটনায় আমার কোনো সম্পৃক্ততা নেই। আমার ভাগ্নিকে চাপ দিয়ে এসব কথা স্বীকার করানো হয়েছে এবং আমাকে দোষারোপ করা হচ্ছে। আমি এ ব্যাপারে কিছুই জানি না।

এ ঘটনায় নাসরিন ও রুবেলের ব্যাপারে কোনো আইনি পদক্ষেপ নেওয়া হবে কিনা তা জানতে চাইলে গোয়েন্দা পুলিশের এ কর্মকর্তা বলেন, এ ঘটনায় চন্দ্রিমা থানায় নাসরিনের নামে মাদকদ্রব্য আইনে মামলা করা হয়েছে। এ ঘটনার সঙ্গে আরও কেউ জড়িত আছে কিনা সেটিও খতিয়ে দেখা হচ্ছে।

Facebook Comments Box

এই সাইটে নিজম্ব নিউজ তৈরির পাশাপাশি বিভিন্ন নিউজ সাইট থেকে খবর সংগ্রহ করে সংশ্লিষ্ট সূত্রসহ প্রকাশ করে থাকি। তাই কোন খবর নিয়ে আপত্তি বা অভিযোগ থাকলে সংশ্লিষ্ট নিউজ সাইটের কর্তৃপক্ষের সাথে যোগাযোগ করার অনুরোধ রইলো।