ঢাকারবিবার, ৮ই জুন, ২০২৫

স্বাধীনতার ৫০ বছর, বিজয়ের সুবর্ণজয়ন্তী

নিজস্ব প্রতিবেদক
ডিসেম্বর ১৬, ২০২১ ৩:৪২ অপরাহ্ণ
শেয়ার করুন:-
Link Copied!

নয় মাস ব্যাপী রক্তক্ষয়ী এক যুদ্ধের পর ১৯৭১ সালের ১৬ই ডিসেম্বর ঢাকার রেসকোর্স ময়দানে পাকিস্তানি সামরিক বাহিনীর আত্মসমর্পণের মধ্য দিয়ে জন্ম হয়েছিল স্বাধীন রাষ্ট্র বাংলাদেশের।

আজ সেই বিজয়ের ৫০তম বার্ষিকী।

দেশে এ বছর পালিত হচ্ছে স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী – সারাদেশে নানারকম অনুষ্ঠানমালার মধ্য দিয়ে দিনটি উদযাপিত হচ্ছে।

আজ সকালে জাতীয় স্মৃতিসৌধে শহীদদের স্মৃতির উদ্দেশ্যে পুষ্পস্তবক দেন রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ, এরপর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং দেশের সাধারণ মানুষ।

এর আগে স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীর অনুষ্ঠানে যোগ দিতে ভারতের রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দ ১৫ই ডিসেম্বর ঢাকায় এসে পৌঁছান।

আরও পড়ুন

আজ ১৬ই ডিসেম্বরের প্রথম প্রহরে ৩১ বার তোপধ্বনি দিয়ে শুরু হয় সারা দিনের কার্যক্রম।

এরপর মধ্যরাত থেকে ঢাকা সহ সারাদেশের বিভিন্ন জায়গায় আতশবাজি ফোটানো এবং সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।

শহরের গুরুত্বপূর্ণ ভবনসমূহে আলোকসজ্জা করা হয়েছে।

বিজয়ের সুবর্ণজয়ন্তী উদযাপনের অন্যতম অনুষ্ঠান বিজয় দিবসের কুচকাওয়াজ হয় শেরেবাংলা নগরে জাতীয় প্যারেড গ্রাউন্ডে।

সেখানে উপস্থিত ছিলেন রাষ্ট্রপতি আব্দুল হামিদ, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং ভারতের রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দ।

কুচকাওয়াজে বাংলাদেশের সেনা, নৌ ও বিমান বাহিনী, পুলিশ, র‍্যাব, বিজিবি, আনসার ভিডিপিসহ বিভিন্ন বাহিনী অংশ নেয়।

আকাশ থেকে পতাকা উড়িয়ে অবতরণ করেন ছত্রীসেনা দল।

বাংলাদেশি বাহিনীর সঙ্গে কুচকাওয়াজে অংশ নিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্র, রাশিয়া, মেক্সিকো এবং ভুটানের সশস্ত্র বাহিনীর সদস্যরা।

এদিকে, বিজয়ের সুবর্ণজয়ন্তী উপলক্ষে জাতীয় সংসদের দক্ষিণ প্লাজায় আয়োজন করা হয়েছে দুই দিনব্যাপী ‘মহাবিজয়ের মহানায়ক’ শীর্ষক অনুষ্ঠান, যার শুরু আজকেই।

দেশের প্রতিষ্ঠাতা রাষ্ট্রপতি শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশত বার্ষিকীর অনুষ্ঠানমালাও একই সঙ্গে পালিত হচ্ছে।

বিকেলে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সেখান থেকে বাংলাদেশের স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী ও মুজিববর্ষ উপলক্ষে দেশবাসীকে শপথ-বাক্য পাঠ করাবেন বলে সরকারি কর্মসূচি রয়েছে।

বিজয়ের সুবর্ণজয়ন্তী উদযাপনের অংশ হিসেবে দেশের সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে বিশেষ অনুষ্ঠান আয়োজন করা হয়েছে।

এছাড়া স্বাস্থ্যবিধি মেনে বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমি, বাংলা একাডেমি, জাতীয় জাদুঘর, মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘর, বাংলাদেশ শিশু একাডেমিসহ সামাজিক ও সাংস্কৃতিক বিভিন্ন সংগঠন দিনটি পালনের জন্য কর্মসূচী পালন করছে।

এর মধ্যে রয়েছে মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক আলোচনা, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান, মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক চলচ্চিত্র এবং প্রামাণ্যচিত্র প্রদর্শনী, শিশুদের চিত্রাঙ্কন, রচনা প্রতিযোগিতা।

১৯৭২ সালের ২২শে জানুয়ারি প্রকাশিত এক প্রজ্ঞাপন জারি করে এই দিনটিকে বাংলাদেশে জাতীয় দিবস হিসেবে উদযাপন এবং এ দিনটিতে সরকারি ছুটি ঘোষণা করা হয়।

Facebook Comments Box

এই সাইটে নিজম্ব নিউজ তৈরির পাশাপাশি বিভিন্ন নিউজ সাইট থেকে খবর সংগ্রহ করে সংশ্লিষ্ট সূত্রসহ প্রকাশ করে থাকি। তাই কোন খবর নিয়ে আপত্তি বা অভিযোগ থাকলে সংশ্লিষ্ট নিউজ সাইটের কর্তৃপক্ষের সাথে যোগাযোগ করার অনুরোধ রইলো।