কুষ্টিয়ার খোকসার ৬০০ বছরের প্রাচীন কালীপূজা কেন্দ্রীয় কালীবাড়ি মন্দিরে আগামী ৩১ জানুয়ারী ২০২২ ইং তারিখ সোমবার মধ্যরাতে প্রাচীন প্রথা অনুযায়ী কাম ও ক্রোধের প্রতিক হিসেবে পাঠা এবং মহিষ বলির মধ্য দিয়ে উদযাপিত হবে।
তবে বৈশ্বিক মহামারির কারনে গতবছরের মতন এবছরও থাকছে সরকারি বিধিনিষেধ।
কুষ্টিয়ার খোকসা উপজেলার গড়াই নদের পাড় ঘেষে দাঁড়িয়ে আছে প্রায় ৬০০ বছরের প্রাচীন ও ঐতিহ্যবাহী খোকসা কালীবাড়ি মন্দির। প্রতিবছর মাঘ মাসের অমাবস্যা তিথিতে শুরু হয় প্রায় ৮ হাতলম্বা মা-কালীর পূজা ও যজ্ঞ অনুষ্ঠান। পৃথিবীর বিভিন্ন দেশ থেকে আগত হয় ভক্ত ও পর্যটকবৃন্দ।
আরও পড়ুনঃ দেশে করোনায় মৃত্যু তিনগুণ বাড়ল
খোকসা এলাকার মানুষের কাছে এই পূজা অসাম্প্রদায়িক চেতনার বহিঃপ্রকাশ ঘটায়। কালীপূজাতে যেমন সনাতনী ভাই-বোন আসেন মানত নিয়ে, তেমনি মুসলিম ভাই-বোনরাও আসেন তাদের মানত নিয়ে। এ জন্য খোকসার এই মেলা যেমন ভাতৃত্ব এর জন্ম দেয়। এই পূজার মধ্য দিয়ে খোকসাসহ তামাম দুনিয়ার সকল সৃষ্টি, শান্তিতে থাকবেন বলে বিশ্বাস এই এলাকার স্থানীয়দের।
আরও পড়ুনঃ পছন্দের খাবার যখন নীরব ঘাতক
১৪ জানুয়ারী শুক্রবার কালীবাড়ি প্রাঙ্গনে অবস্থিত কালীপূজা কমিটির নিজস্ব কার্যলয়ে আগামী মেলা ও পূজা উদযাপন নিয়ে এক সভা অনুষ্ঠিত হয়। এ সভায় সভাপতিত্ব করেন, সুপ্রভাত মালাকার এবং সভা সঞ্চালন করেন দুলাল চন্দ্র বিশ্বাস।
উক্ত সভা শেষে আগামী পূজা ও মেলা উদযাপন সম্পর্কে খোকসা কালীপূজা কমিটির আইন বিষয়ক সম্পাদক এড. সুদীপ্ত সিংহ বলেন, বিগত প্রায় ৬০০ বছরের প্রাচীন কালীপূজা হচ্ছে খোকসাতে, এই পূজা ও পূজা কে কেন্দ্র করে পক্ষকালব্যাপি মেলার। তবে বৈশ্বিক মহামারির কারনে সরকারী আদেশ অনুযায়ী গতবার প্রথমবারের মত বন্ধ হয় মেলা ও জনসমাগম। তবে স্বাস্থ্য বিধি মেনে পূজা উদযাপিত হয়েছিলো। এবার করোনা একটু কমে যাবার কারনে একটু স্বস্তি ছিল যে এবার পূজা মেলা দুটোই হবে। কিন্তু হঠাৎ করোনার ওমিক্রন ভেরিয়েন্টের কারনে নতুন করে সরকারি প্রজ্ঞাপণ জারি হয়েছে। কালীপুজা কমিটি সরকারি আদেশে সহমত প্রকাশ করে সিদ্ধান্ত নিয়েছে গতবারের মত এ বছরেও মেলা স্থগিত করে শুধু পূজা উদযাপন করা হবে। আগত ভক্ত ও পর্যটকবৃন্দের জন্য থাকছে সরকারি বিধিনিষেধ অনুযায়ী স্বাস্থ্য সুরক্ষার ব্যবস্থা।