কুষ্টিয়ার ভেড়ামারা উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মোঃ মেহেরুল ইসলাম (৫০) ও মোঃ বান্দা ফাত্তাহ মোহনকে (৫৫) গুলি করে হত্যা মামলায় ৫ আসামিকে যাবজ্জীবন কারাদন্ডের আদেশ দিয়েছেন আদালত।
সেইসঙ্গে প্রত্যেককে ২০ হাজার টাকা করে জরিমানা, অনাদায়ে আরও এক বছরের সশ্রম কারাদন্ডের আদেশ দেয়া হয়েছে।
আজ রবিবার দুপুরে কুষ্টিয়ার অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক মোঃ তাজুল ইসলাম ৪ জন আসামীর উপস্থিতিতে এ রায় ঘোষনা করেন।
আরও পড়ুনঃ সাংবাদিক রুবেল হত্যা সন্দেহের তীর উপজেলা চেয়ারম্যান কামারুল আরেফিন’র দিকে
একজন সাজাপ্রাপ্ত আসামী পলাতক রয়েছে। যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত আসামিরা হলেন- কুষ্টিয়া শহরের আড়ুয়াপাড়া এলাকার মৃত ইদ্রিস আলীর ছেলে তারিক, মোশাররফ হোসেনের ছেলে কামাল রেজা নিপু, আব্দুর রশিদের ছেলে সিরাজুল ইসলাম মাসুদ, নবীর আলীর ছেলে রায়হান আলী এবং সদর উপজেলার কাঞ্চনপুর গ্রামের চাঁদ আলীর ছেলে সিদ্দিক (পলাতক)।
এ মামলা থেকে ১০ আসামিকে খালাস দিয়েছেন আদালত।
মামলার নতি সুত্রে জানাযায়, ২০০৯ সালের ১৫ আগষ্ট কুষ্টিয়ার ভেড়ামারা বাজার এলাকায় একটি দোকানের পাশে বসে ছিলেন ভেড়ামারা উপজেলার আওয়ামীলীগের যুগ্ম সাধারন সম্পাদক মেহেরুল ইসলাম, কলেজ শিক্ষক মোহনসহ আরো কয়েকজন।
আরও পড়ুনঃ সারা দেশের ন্যায় খোকসাতে ১২৭ জন ভূমিহীন গৃহহীনকে জমিসহ ঘর প্রদান
এসময় হঠাৎ মোটর সাইকেল যোগে ৭/১০ জনের একটি সন্ত্রাসী দল তাদের উপর এলোপাথারী গুলি করে। এতে আওয়ামীলীগ নেতা মেহেরুল ইসলাম এবং কলেজ শিক্ষক মোহন মারা যায়। এই ঘটনায় গুলিবিদ্ধ হয়ে আহত হয় আরো কয়েকজন।
এই ঘটনার দুইদিন পর ভেড়ামারা থানা এস আই আমিনুল ইসলাম বাদী হয়ে ভেড়ামারা থানায় অজ্ঞাত ব্যাক্তিদের আসামী করে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।
পরে এই মামলায় দীর্ঘ তদন্ত শেষে মামলায় ১৬ জনকে অভিযুক্ত করে ২০১১ সালের ২২ জুলাই মামলার চুড়ান্ত প্রতিবেদন দাখিল করেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা আজম খান। পরে দীর্ঘ শুনাণী শেষে এবং ১৬ জনের স্বাক্ষ প্রমানের ভিত্তিত্বে আজ মামলার রায় ঘেষনা করেন আদালত।
আদালতের পিপি অনুপ কুমার নন্দী বলেন, ভেড়ামারা উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মোঃ মেহেরুল ইসলাম ও কলেজ শিক্ষক মোঃ বান্দা ফাত্তাহ মোহনকে গুলি করে হত্যা মামলায় দোষী প্রমাণিত হওয়ায় ৫ আসামিকে যাবজ্জীবন কারাদন্ডের আদেশ দেন আদালত।