spot_img
মঙ্গলবার, সেপ্টেম্বর ১৭, ২০২৪
28 C
Bangladesh
মঙ্গলবার, সেপ্টেম্বর ১৭, ২০২৪
মঙ্গলবার, সেপ্টেম্বর ১৭, ২০২৪
spot_img
আরও
    DinBartaশিক্ষাখোকসার রাইপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়টি এখন প্রাইভেট সেন্টার
    spot_imgspot_img

    খোকসার রাইপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়টি এখন প্রাইভেট সেন্টার

    কুষ্টিয়া জেলার খোকসা উপজেলার রাইপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের করুন অবস্থা। এই প্রতিষ্ঠানটিতে রয়েছে মোট ৩ জন শিক্ষিকা।

    খোজ নিয়ে জানা যায় তারা প্রতিষ্ঠানে খুবই অনিয়মিত। স্কুলের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষিকা আফরোজা খাতুন স্কুলটি প্রাইভেট সেন্টার বানিয়ে রেখেছে। এই বিষয়ে স্কুলের সভাপতির কাছে অভিভাবকেরা জানালে সভাপতি বিষয়টির কোন গুরুত্ব দেয়না।

    আরও পড়ুনঃ কুষ্টিয়া জেলা পুলিশের শ্রেষ্ঠ অফিসার ইনচার্জ নির্বাচিত হলেন সাব্বিরুল আলম

    গত বৃহস্পতিবার (২৯/৭/২২) অভিভাবকেরা সকাল ৯:৩৭ এর সময় স্কুলে গিয়ে দেখে প্রথম শ্রেনির শিক্ষার্থীদের বাহিরে দার করে রেখে স্কুলের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষিকা আফরোজা খাতুন ৩টি শ্রেনী কক্ষের ভিতর প্রাইভেট পড়াচ্ছেন। তার কাছে বিষয়টি জানতে চাওয়া হলে তিনি বলেন দূর্বল শিক্ষার্থীদের অতিরিক্ত ক্লাস নেওয়া হচ্ছে।

    কিন্তুু শিক্ষার্থীদের কাছে জানতে চাইলে তারা বলে প্রতিমাসে ২০০ টাকার বিনিময়ে সকাল ৯টা-১০টা পর্যন্ত আফরোজা মেডাম তাদের প্রাইভেট পড়ান।

    মূলত স্কুলের সময় ৯ টা হতে ১২টা পর্যন্ত ১ম শিফট আর ১২টা থেকে ৪টা পর্যন্ত ২য় শিফট। স্কুলের নির্ধারিত সময়ে স্কুলেই যদি এইভাবে প্রাইভেট সেন্টার বানিয়ে রাখা হয় তাহলে যে গরিব অসহায় মানুষের সন্তান ২০০ টাকা দিয়ে প্রাইভেট পড়াতে পারেনা সেই মেধাবী শিশুগুলোর কি অবস্থা হবে। আর কি জন্যই বা এই স্কুলের প্রয়োজন হবে।

    আরও পড়ুনঃ কুষ্টিয়ার কুমারখালীতে তিন কৃতি শিক্ষার্থীকে সংবর্ধনা প্রদান

    বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষিকার সাথে মুঠোফনে কথা বললে তিনি সত্যতা শিকার করেন এবং তিনি বলেন স্কুল পরিচালনা কমিটির সভাপতির বিষয়টি অবগত আছেন।

    বিদ্যালয়টির সভাপতি মনিরুলের সাথে কথা বললে তিনি বলেন বিষয়টা আমি শুনেছি তবে আমি তাকে কয়েকবার নিষেধ ও করেছি। আর সে হয়তো কিছু কিছু বাচ্চার কাছ থেকে ২০০ টাকা করে নেন। তবে এ বিষয়টি আমি দেখবো।

    রাইপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের অভিভাবকদের দাবি খোকসা উপজেলা শিক্ষা অফিসার বিষয়টি ভালোভাবে তদন্ত পূর্বক প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহনের। যাতে কোন শিক্ষক এই ধরনের কাজ আর করতে না পারে। সেই সাথে স্কুলের যিনি সভাপতি তিনি যাতে নিয়মিত স্কুলের খোঁজ খবর নেয় সেই বিষয়ে নিশ্চিত করা এবং সঠিকভাবে স্কুল পরিচালনা করা।

    spot_imgspot_img

    ফলো করুন-

    সম্পর্কিত বার্তা

    জনপ্রিয় বার্তা

    সর্বশেষ বার্তা