spot_img
শনিবার, এপ্রিল ১৯, ২০২৫
27.3 C
Bangladesh
শনিবার, এপ্রিল ১৯, ২০২৫
শনিবার, এপ্রিল ১৯, ২০২৫
spot_img
আরও
    DinBartaজাতীয়দফায় দফায় বাড়ছে কুষ্টিয়াতে চালের দাম
    spot_imgspot_img

    দফায় দফায় বাড়ছে কুষ্টিয়াতে চালের দাম

    কুষ্টিয়ার চালের মোকাম খাজানগর ও এর আশ পাশের এলাকায় আবারো বিভিন্ন চালের দাম বাড়ছে কেজি প্রতি ৫ থেকে ৭ টাকা।

    চালের এই দাম বৃদ্ধির কারন হিসেবে চাল উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান ও বিক্রেতারা ডিজেলের দামকে দায়ী করছে। ব্যবসায়ীরা বলছেন সামনে চালের দাম আরো বৃদ্ধি পাবে।

    চালকল মালিকরা তিনটি কারণে চালের দাম অস্বাভাবিক হারে বাড়ছে বলে জানিয়েছেন। এর মধ্যে রয়েছে ডিজেলের মূল্য বৃদ্ধি, দ্বিতীয় হলো ধানের দাম চড়া ও একই সাথে সংকট এবং তৃতীয় কারন দেখানো হচ্ছে যে চাল আমদানির সুযোগ দিলেও সেখানে ২৫ শতাংশ ভ্যাট আরোপ করার কারনে চাল আমদানিতে ভাটা।

    কুষ্টিয়ার খাজানগরের দেশবন্ধু চাল কলের মালিক রেজাউল করিম জানান ডিজেলের মূল্য বৃদ্ধির কারণে ট্রাক প্রতি পরিবহন খরচ অস্বাবাবিক বাড়ছে।
    তার হিসেব মতে ধান ও চাল উভয় ক্ষেত্রেই কমপক্ষে ২ হাজার টাকা বেড়েছে। এছাড়াও লোডশেডিংয়ের কারণে মিলে মিলে জেনারেটর ব্যবহার করতে হচ্ছে। এতে করে উৎপাদন খরচও বেড়ে যাচ্ছে।

    আরও পড়ুনঃ বিএনপির লাগাতার কর্মসূচি ২২ আগস্ট থেকে

    কুষ্টিয়ার খাজানগর দেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম চালের মোকাম। চিকন বা সরু (মিনিকেট) চালের সর্ববৃহৎ মোকাম এটি। প্রতিদিন এখানে প্রায় ২শ থেকে ২৫০ ট্রাক লোড হয়ে ঢাকা, চট্টগ্রামসহ সারা দেশের বাজারে চাল সরবরাহ হয়।

    ডিজেলের মূল্য বৃদ্ধির দুদিন পর থেকেই কুষ্টিয়ার বাজারে সব ধরনের চালের দাম কেজি প্রতি ৫ থেকে ৭ টাকা বৃদ্ধি পেয়েছে। এর মধ্যে মিনিকেট চাল কেজি প্রতি ৪ থেকে ৫ টাকা, কাজললতা আর আঠাশ চাল কেজি প্রতি ৬ থেকে ৭ টাকা বৃদ্ধি পেয়েছে।

    বর্তমানে কুষ্টিয়ার বাজারে অটোমিলের মিনিকেট চাল ৭০ টাকা, সাধারণ মিনিকেট ৬৮ টাকা, কাজললতা ৬০ টাকা, সাধারণ কাজললতা ৫৮ টাকা, অটোমিলের বাসমতি চাল ৮২ টাকা, সাধারণ বাসমতি ৭৮ টাকা, আঠাশ চাল ৫৫ টাকা এবং নাজিরশাইল চাল ৮২ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।

    আরও জানুনঃ কুষ্টিয়া থেকে ট্রেনের সময়সূচী

    ক্রেতারা এই দাম একেবারে অপছন্দ করছেন। চতুর্থ শ্রেণীর চাকুরীজীবি মকবুল মিয়াঁ জানান আয়ের সাথে ব্যয়ের ভারসাম্য নেই তার। তিনি জানান বাজারে সবকিছুরই দাম বেড়েছে। কোনমতেই ভারসাম্য আনতে পারছেন না।

    দিনমজুর আব্দুল মতিন বলেন আয়ের সাথে ব্যয়ের কোন হিসাব নাই, সারাদিন কাজ করে যা পাই তা দিয়ে সংসার চালানো কষ্টকর।

    রিক্সাচালক মোজাম্মেল হোসেন মোজাম বলেন রিক্সাভাড়া বেশী চাইলেই গালী খাচ্ছেন যাত্রীদের কাছ থেকে। তিনি বলেন প্রতিদিনের আয় প্রতিদিনই শেষ হয়ে যাচ্ছে। তার প্রশ্ন মাসের প্রতিটা দিনই কি পরিশ্রম করা সম্ভব?

    বাংলাদেশ অটো মেজর অ্যান্ড হাসকিং মিল মালিক সমিতি কুষ্টিয়া জেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক জয়নাল আবেদীনের মতে
    বোরো মৌসুমে সরকারের মজুতকৃত চাল এই মুহূর্তে বাজারে ছেড়ে দেওয়া উচিত এবং চাল আমদানির ক্ষেত্রে ২৫ শতাংশ ভ্যাট সম্পূর্ণ প্রত্যাহার করা। এর বাইরেও বাজারে মনিটরিং করার পরামর্শ তার।

    spot_imgspot_img

    ফলো করুন-

    সম্পর্কিত বার্তা

    জনপ্রিয় বার্তা

    সর্বশেষ বার্তা