যুক্তরাষ্ট্রের ওকলাহোমায় প্রেমিকের হাতে ছেলে খুন হওয়ায় এক নারীর ১৬ মাসের কারাদণ্ড হয়েছে। ছেলের হত্যাকাণ্ডের সময় ওই নারী কাজে ছিলেন। তার অনুপস্থিতিতেই প্রেমিক তার দুই বছর বয়সী ছেলেকে খুন করেন। খবর বিবিসির।
দুই বছর বয়সী ছেলে রিডারকে সুরক্ষা দিতে না পারায় ২৯ বছর বয়সী রেবেকা হগের সাজা ঘোষণা করেন দেশটির একটি আদালত। গত বছরের নভেম্বরে তিনি নিজের দোষ স্বীকার করেন। সে সময় তিনি ফার্স্ট ডিগ্রি মার্ডারে অভিযুক্ত হন।
আরও পড়ুনঃ গৃহবধূকে পিটিয়ে ও শ্বাসরোধ করে হত্যা, স্বামী আটক
রেবেকার যাবজ্জীবন কারাদণ্ড চাওয়া হয়েছিল। কিন্তু বিচারক তার ১৬ মাসের কারাদণ্ড ঘোষণা করেছে। তবে ইতোমধ্যেই কয়েক মাস সাজা ভোগ করায় তাকে আরও ১৩ মাস কারাগারে থাকতে হবে।
আরও পড়ুনঃ শিশুকে ধর্ষণচেষ্টার অভিযোগ
শুনানি চলাকালে রেবেকা হগ বলেন, যদি তিনি আগের সময়ে ফিরে যেতে পারতেন তবে তিনি যে কোনো ভাবে তার ছেলের মৃত্যু ঠেকানোর সর্বাতক চেষ্টা করতেন।
তিনি বলেন, এমন সুন্দর, স্মার্ট, স্বাস্থ্যবান ছেলের মা হিসেবে আমি গর্বিত ছিলাম। সে আমার জীবনে অনাবিল শান্তি নিয়ে এসেছিল। আমি জানি আমার সন্তান নিশ্চয়ই এখন স্বর্গে আছে।
রেবেকা তার ছেলের হত্যাকাণ্ডে জড়িত ছিলেন না। সে কারণে বিচারক মৃত্যু পর্যন্ত তার কারাভোগের পক্ষে নন। তবে তার অবহেলায় তার সন্তান খুন হওয়ায় তাকে সাজা ভোগ করতে হবে বলে জানানো হয়।
ওকলাহোমাতে যেসব বাবা-মা তাদের সন্তানদের কোনো ধরনের নির্যাতন থেকে রক্ষা করতে ব্যর্থ হন তাদেরও নির্যাতনকারীর মতোই একই অপরাধে অভিযুক্ত করা হয়ে থাকে। এমনকি তারাও একই ধরনের শাস্তি পেয়ে থাকেন।
২০২০ সালের নববর্ষের প্রথম দিনে ১২ ঘণ্টার শিফট শেষে বাড়িতে ফেরেন রেবেকা। তিনি একটি বারে কাজ করতেন। সকালে বাড়ি ফেরার পর তিনি দেখেন তার ছেলে শ্বাস নিচ্ছে না এবং তার প্রেমিক ক্রিস্টোফার ট্রেন্টও গায়েব। তখন তিনি বুঝতে পারেন তার প্রেমিকের হাতে ছেলে খুন হইছে।
এই ঘটনার চারদিন পর উইচিতা পবর্তমালায় ট্রেন্টের মরদেহ খুঁজে পায় পুলিশ। ধারণা করা হয়, তিনি আত্মহত্যা করেছেন। সেখানেই একটি গাছে ‘রেবেকা নির্দোষ’ কথাটি খোদাই করে রেখেছিলেন ট্রেন্ট।