দেশে প্রথম তৃতীয় লিঙ্গের চেয়ারম্যান নির্বাচিত হলেন। যিনি স্থানীয়দের মাঝে ঋতু হিজড়া নামে পরিচিত।
কালীগঞ্জের নির্বাচন কর্মকর্তা আলমগির হোসেন সোমবার (৩০শে নভেম্বর) এই খবর নিশ্চিত করেন।
রবিবার তৃতীয় ধাপের ইউনিয়ন নির্বাচনে সেখানকার নৌকা প্রতীকের আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী নজরুল ইসলাম সানাকে পরাজিত করেন তিনি। যা নিয়ে এলাকায় রীতিমত ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে।
রবিবার ঝিনাইদহ জেলার কালীগঞ্জ উপজেলায় ১১টি ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। সেখানে চেয়ারম্যান পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছেন মোট ২৯ জন প্রার্থী।
এর মধ্যে ৬নম্বর ত্রিলোচনপুর ইউনিয়নে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছেন ৩জন।
সেখানেই 'আনারস' প্রতীক নিয়ে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নজরুল ইসলাম ঋতু দাঁড়ান।
ঐ ইউনিয়নে মোট ভোটার সংখ্যা ১৯,৬০০ বলে জানিয়েছেন নির্বাচন কর্মকর্তা আলমগির হোসেন। এর মধ্যে ভোটে অংশ নিয়েছেন কমপক্ষে ৭৫% ভোটার।
বজ্রপাতে মানুষের মৃত্যু কমাতে নতুন উদ্যোগ
তৃতীয় লিঙ্গের মানুষের জন্য প্রথম শিক্ষা প্রতিষ্ঠান
প্রাপ্ত প্রাথমিক ফলাফল অনুযায়ী, নজরুল ইসলাম ঋতু ৯,৫৫৭টি ভোট পেয়ে বেসরকারিভাবে চেয়ারম্যান পদে নির্বাচিত হন।
তার সবথেকে নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী নৌকা প্রতীকের নজরুল ইসলাম সানা পেয়েছেন ৪,৫২৯টি ভোট।
অন্যদিকে হাত পাখা মার্কা নিয়ে দাঁড়ানো ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের মনোনীত আরেক প্রার্থী মোঃ মাহবুবুর রহমান পেয়েছেন ৮০৯টি ভোট।
ভোটে জয়ী হয়ে সাংবাদিকদের দেয়া এক সাক্ষাতকারে নজরুল ইসলাম ঋতু বলেন, ত্রিলোচনপুর ইউনিয়নবাসীর কাছে আমি ঋণী। আমি হিজড়া হলেও মানুষ আমাকে পছন্দ করেছে, আমাকে ভোট দিয়ে পাস করিয়েছে, আমি তাদের সব ধরনের মনের আশা পূরণে সর্বাতক চেষ্টা করে যাবো।
আগে তিনি ঢাকার ভোটার হলেও নির্বাচনে অংশ নেয়ার জন্য এই বছরের শুরুতে ত্রিলোচনপুরের নিজ এলাকায় ভোটার নিবন্ধন করেন এবং ঢাকার পরিবর্তে নিজ গ্রামের বাড়ির ঠিকানা ব্যবহার করেন।
নজরুল ইসলাম ঋতু এই প্রথম কোন ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচনে অংশ নিয়েছেন।
স্থানীয়রা বলেন, করোনা ভাইরাস (কোভিড ১৯) মহামারির সময় স্থানীয়দের সাহায্য সহযোগিতা দেয়ার কারণে তিনি বেশ পরিচিত মুখ হয়ে ওঠেন।
নির্বাচনের সময়, পোস্টার টাঙিয়ে , মিছিল করে ও এলাকাবাসীর বাড়ি বাড়ি গিয়ে ব্যাপক প্রচার প্রচারণা চালান।
বিজয়ী চেয়ারম্যানের বাড়ি উপজেলার ত্রিলোচনপুর ইউনিয়নের দাদপুর গ্রামে।
উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা এবং স্থানীয় মানুষ বলছে, নজরুল ইসলাম ঋতুরা মোট ৭ভাই বোন। তার মধ্যে তিনি তৃতীয় লিঙ্গের, এই বিষয়টি গ্রামে জানাজানি হবার পর ছোটবেলায় তিনি বাধ্য হয়ে গ্রাম ত্যাগ করে ঢাকায় চলে যান।
ছোটবেলা থেকেই ঢাকার ডেমরা এলাকায় একটি হিজড়া কমিউনিটির সাথে বেড়ে উঠেছেন।
তবে গ্রামের বাড়ির টানে তিনি প্রায়ই গ্রামে ঘুরতে আসতেন বলে জানিয়েছেন স্থানীয়রা। পরে এই বছরেই তিনি ভোটার এলাকা বদল করে নির্বাচনের প্রস্তুতি নিতে শুরু করে দেন।
দিনবার্তা | সব সময়, সব খানে
এই সাইটে নিজম্ব নিউজ তৈরির পাশাপাশি বিভিন্ন নিউজ সাইট থেকে খবর সংগ্রহ করে সংশ্লিষ্ট সূত্রসহ প্রকাশ করে থাকি।
কোন খবর নিয়ে আপত্তি বা অভিযোগ থাকলে সংশ্লিষ্ট নিউজ সাইটের কর্তৃপক্ষের সাথে যোগাযোগ করার অনুরোধ রইলো।
Copyright © 2025 DinBarta. All rights reserved.