ঢাকাবৃহস্পতিবার, ৩১শে জুলাই, ২০২৫

ইউপি চেয়ারম্যান আকমলের বিরুদ্ধে অবৈধভাবে বালু উত্তোলনের অভিযোগ

নিজস্ব প্রতিবেদক
আগস্ট ৩০, ২০২২ ৩:২১ অপরাহ্ণ
শেয়ার করুন:-
Link Copied!

কুষ্টিয়ার খোকসা উপজেলার আমবাড়িয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোঃ আকমল হোসেনের বিরুদ্ধে নদী থেকে অবৈধভাবে বালু উত্তোলনের অভিযোগ উঠেছে। আমবাড়িয়া ইউনিয়নের ৭ নম্বর ওয়ার্ডের কণ্ঠগজরা এলাকা থেকে ড্রেজার মেশিনের সাহায্যে পদ্মা নদী থেকে এ বালু উত্তোলন করা হচ্ছে।

উত্তোলিত বালু পাইপের সাহায্যে রাখা হচ্ছে কণ্ঠগজরার তিন রাস্তা মোড়ে। সেখান বিক্রি শেষে ড্রাম ট্রাকে করে নেওয়া হচ্ছে বিভিন্ন এলাকায়।

এতে একদিকে সরকার হারাচ্ছে রাজস্ব। অন্যদিকে ড্রামে নষ্ট হচ্ছে গ্রামীণ সড়ক। বাড়ছে দুর্ঘটনার ঝুঁকি।
তবে চেয়ারম্যানের দাবি, বালু উত্তোলনের স্থানটি পাবনা জেলার। পাবনা জেলা প্রশাসন ইজারা দিয়েছেন। ইজারাদারের নিকট থেকে বালু কিনে এনে তিনি বিক্রি করছেন।

সরেজমিন দেখা যায়, পদ্মা নদী থেকে ড্রেজার মেশিনের সাহায্যে বালু উত্তোলন করে পাইপের সাহায্যে রাখা হচ্ছে কণ্ঠগজরা তিন রাস্তা মোড়ে। সেখান থেকে এক্সকাভেটর দিয়ে বালু কেটে ড্রাম ট্রাকে ভরা হচ্ছে। ট্রাকগুলো বালু নিয়ে চলে যাচ্ছে বিভিন্ন এলাকায়।

স্থানীয়দের অভিযোগ, আমবাড়িয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ক্ষমতার দাপট দেখিয়ে কারো তোয়াক্কা না করে নদী থেকে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন করছেন। এতে করে সরকার হারাচ্ছে রাজস্ব। অন্যদিকে ড্রাম ট্রাকের কারণে নষ্ট হচ্ছে গ্রামীণ সড়ক। বাড়ছে দুর্ঘটনার ঝুঁকি।

তবে ভয়ে কেউ এ ব্যাপারে মুখ খোলার সাহস পাচ্ছেন না। প্রশাসনের ভূমিকাও নীরব।

এ বিষয়ে আমবাড়িয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোঃ আকমল হোসেনের কাছে জানতে চাওয়া হলে তিনি অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, স্থানটি পাবনার জেলা প্রশাসন ইজারা দিয়েছেন। আমি ইজারাদারের নিকট থেকে বালু কিনে বিক্রি করছি।

খোকসা উপজেলা সহাকারী কমিশার (ভূমি) মো. ইসহাক আলী দাবি করেন বিষয়টি তার জানা নেই। খোঁজ নিয়ে দেখা হচ্ছে। যদি ব্যাপারটি আমার (খোকসা) এলাকায় হয়ে থাকে, তাহলে এ বিষয়ে অবশ্যই আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

Facebook Comments Box

এই সাইটে নিজম্ব নিউজ তৈরির পাশাপাশি বিভিন্ন নিউজ সাইট থেকে খবর সংগ্রহ করে সংশ্লিষ্ট সূত্রসহ প্রকাশ করে থাকি। তাই কোন খবর নিয়ে আপত্তি বা অভিযোগ থাকলে সংশ্লিষ্ট নিউজ সাইটের কর্তৃপক্ষের সাথে যোগাযোগ করার অনুরোধ রইলো।