খোকসাতে বাকী না দেওয়ায় দোকানদারকে থানার এসআই প্রশান্তর হুমকী!
পুলিশের দায়িত্ব হচ্ছে জনগণের জানমালের নিরাপত্তা দেওয়া। জনগণকে রক্ষা করা। সেই পুলিশই যখন ভক্ষকের ভূমিকায় নামে, তখন মানুষ কার কাছে নিরাপত্তা চাইবে? আইন, নীতি, নৈতিকতা এসবের কোনো গুরুত্বই নেই পুলিশের কাছে? আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্য হয়েও আইনের প্রতি কোনো শ্রদ্ধা নেই তার। বিপদগ্রস্ত মানুষকে তারা উদ্ধার করবে কী? উল্টো ব্ল্যাকমেল করে নিজেদের পকেট ভারী করার কাজে ব্যস্ত।
নিরীহ মানুষকে ফাঁসিয়ে বা হুমকি দিয়ে তাঁদের কাছ থেকে মোটা অঙ্কের টাকা আদায় করা এখন নিয়মে পরিণত হয়েছে।
এমনই এক অভিযোগ ওঠে এসেছে খোকসা থানার এসআই প্রশান্ত দাশের নামে। খোকসা থানা পুলিশের এক এসআই প্রশান্ত দাশ খোকসা আলম গেঞ্জিঘরে দুই পুলিশ সদস্য কে পাঠায় জামা কাপড় নেওয়ার জন্য। তখন ব্যবসায়ী আলম পুলিশ সদস্যদের বলেন ভাই আমি এই মাএ মাল কিনে এসেছি। এখন তো বাকীতে দিতে পারবো না। আর তাছাড়া করোনাতে আমাদের অবস্থা খুবই খারাপ। আপনি প্রয়োজনে পড়ে এসে নিয়ে যাবেন। তখন সেই পুলিশ সদস্যরা এসআই প্রশান্ত দাশকে যেয়ে বলে বাকীতে দিলো না। ঠিক সেই সময়ই এসআই প্রশান্ত দাশ এলাকার ব্যবসায়ী আলম কে নানা রকম ভাবে ভয়ভীতি দেখায়। পরে ব্যবসায়ী আলমকে হুমকি দিয়ে দোকান থেকে বেরিয়ে যায়। তবে এস আই প্রশান্ত দাশ এখানেই ক্ষ্যান্ত নয় একের পর এক অকথ্যভাষায় গালিগালাজ ও ভয় দেখাতেই থাকে। পরবর্তীতে ফেনসিডিল দিয়ে বা বিক্রয়ের মামলা দেওয়ার ভয় দেখায়। এমনই অভিযোগ ওঠে এসেছে আলমের স্টেটমেন্টে।
খোকসা বাজার ব্যবসায়ী আলম গেঞ্জিঘরের মালিক আলমকে মাদকসেবী বানানোর ভয় দেখিয়ে চলেছেন এসআই প্রশান্ত দাশ । আলম এস,এই প্রশান্ত দাশকে বাকী না দেওয়ায় অকথ্য ভাষায় বকাবাজী ও মানুষিক নির্যাতন চালাচ্ছেন। শুধু আলমই নয় এরকম নাম প্রকাশে অনইচ্ছুক অনেকেই এভাবে এস,আই প্রশান্ত দাশের হাতে হয়রানির শিকার হচ্ছে বলে অভিযোগ পাওয়া যায়।

ভাবুন, কী অসহায় সাধারণ মানুষ! পুলিশের কাছে ও আজ তারা জিম্মি মনে হচ্ছে। ক্ষমতার অপব্যবহার করে সে যা খুশি তা-ই করছে।
এসব পুলিশ সদস্য আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর কলঙ্ক। মুষ্টিমেয় পুলিশের জন্য গোটা পুলিশ বাহিনীর ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন হচ্ছে। তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ করলেও ব্যবস্থা নেওয়া হয় খুবই কম।
পুলিশ জনগণের বন্ধু, এটাই আমরা এত দিন জেনে এসেছি। বিপদে পড়লে আমরা পুলিশের কাছে সাহায্য চাই। পুলিশ আমাদের সাহায্য করবে—সেটাই হওয়ার কথা। প্রশ্ন হচ্ছে, কবে এসবের অবসান হবে? কবে পুলিশ বাহিনীর টনক নড়বে? কবে পুলিশ জনগণের বন্ধু হবে। নিজেদের ওপর জনগণের আস্থা ফিরিয়ে আনার দায়িত্ব পুলিশেরই। আর নির্যাতকের ভূমিকায় নয়, সেবকের ভূমিকায় দেখতে চাই পুলিশকে।
এ ব্যাপারে খোকসা থানার এস আই প্রশান্ত দাশের মুঠোফোনে ফোন করা হলে তাকে পাওয়া যায় নি।