কুষ্টিয়ার খোকসা উপজেলার গোপগ্রাম ইউনিয়নের রঘুনাথপুর এলাকায় টক-মিষ্টি ও মিষ্টি স্বাদের ড্রাগন চাষ করে সাফলতা পেয়েছেন কৃষক মোঃ আবুবক্কর। চাষ শুরু প্রথম বছরেই সাফল্যের মুখ দেখেছেন তিনি। কয়েক বছর আগেও দেশের মানুষ জানত ড্রাগন একটি বিদেশি ফল। কিন্তু সময়ের সঙ্গে সঙ্গে দেশে এর চাষ এতটা বেড়েছে যে, এখন এটি দেশি ফল বলেই মানুষের কাছে পরিচিত। এক মৌসুমে ৫ বার ফলন হওয়ায় ড্রাগন ফল চাষে আগ্রহ বাড়ছে কৃষকদের।
ড্রাগন গাছে শুধু রাতে স্বপরাগায়িত হয়ে ফুল ফোটে। ফুল লম্বাটে সাদা ও হলুদ রঙের হয়। তবে মাছি, মৌমাছি ও পোকা-মাকড় পরাগায়ন ত্বরান্বিত করে। কৃত্রিম পরাগায়নও করা যায়। এ গাছকে ওপরের দিকে ধরে রাখার জন্য সিমেন্টের কিংবা বাঁশের খুঁটির সঙ্গে ওপরের দিকে তুলে দেওয়া হয়।
সরেজমিনে আবুবক্করের বাগানে গেলে দেখা যায়, দুই বিঘা জমির উপর বাণিজ্যিকভাবে গড়ে তুলেছেন ভিয়েতনামী ফল ড্রাগনের খামার। ড্রাগন লতানো কাটাযুক্ত গাছ, যদিও এর কোনো পাতা নেই। ড্রাগন খামার দূর থেকে দেখলে মনে হয় স্বযত্নে ক্যাকটাস লাগিয়েছে কেউ। একটু কাছে যেতেই চোখ ধাঁধিয়ে যাবে অন্য রকম দেখতে ফুল ও এক লাল ফলে ভরা খামার। প্রতিটি গাছে রয়েছে ফুল, মুকুল এবং পাকা ড্রাগন।
নতুন ফল ড্রাগন চাষে সফলতা পাওয়া উপজেলার গোপগ্রাম ইউনিয়নের রঘুনাথপুর গ্রামের কৃষক আবুবক্কর জানান, উপজেলা কৃষি অফিসের সহায়তায় ড্রাগন বাগানের সূচনা করি। তবে তিনি আশা প্রকাশ করে বলেন, ফল ও চারা বিক্রি করে প্রতি বছরে গড়ে প্রায় দুই থেকে তিন লাখ টাকা আয় করতে পারবেন।
এ বিষয়ে খোকসা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ সবুজ কুমার সাহা জানান, তার বাগান পরিদর্শন করেছেন তিনি। বিদেশি ফল ড্রাগন চাষে খরচ কম। ক্যাকটাস জাতীয় গাছ হওয়ায় রোগবালাইও কম। তাই চাষীরা সহজেই এই ফল চাষ করতে পারেন। দেশেই নানা জাতের ড্রাগন চারা পাওয়ায় এ চাষাবাদে বেকার যুবকদের স্বাবলম্বী হওয়ার ব্যাপক সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে। ড্রাগন চাষিদের সার্বিক পরামর্শ ও সহযোগিতা প্রদান করা হচ্ছে বলে জানান।