ঢাকারবিবার, ৮ই জুন, ২০২৫

কপোতাক্ষ নদ খননের সময় গনকবরের সন্ধান

জেলা প্রতিনিধি
মে ১৬, ২০২২ ৭:২১ অপরাহ্ণ
শেয়ার করুন:-
Link Copied!

ঝিনাইদহের মহেশপুর শহরের কলেজ বাসষ্ট্যান্ডে এলাকায় কপোতাক্ষ নদ খননের সময় গণকবরের সন্ধান পাওয়া গেছে।

নদের তীরে একাধিক মানুষের দেহবাশেষ পাওয়ার খবরে মানুষ দলে দলে কপোতা নদের পাড়ে ভীড় করছেন।

স্থানীয়রা জানায়, কপোতাক্ষ নদ খননের সময় মহেশপুর সরকারী কলেজ বাসষ্ট্যান্ডের পাশে ব্রিজের নিচ থেকে মানুষের মাখার খুলি ও হাড় উঠে আসতে দেখে এলাকাবাসী। পরে তারা মানব দেহের বিভিন্ন অঙ্গ-প্রত্যঙ্গের হাড়গুলো গুছিয়ে রাখে সেখানে। এসব দেহাবশেষের মধ্যে বেশ কয়েকটি মাথার খুলিও রয়েছে।

আরও পড়ুনঃ কুষ্টিয়াই জাসদ যুব জোটের সাধারণ সম্পাদক কে কুপিয়ে হত্যা

স্থানীয় বাসিন্দা আব্দুর রহমান বলেন, নদী খনন করার সময় ভেকুর মাথায় এগুলো উঠে আসে। বৃষ্টির পর মাথার খুলিগুলো বের হয়ে আসে। এলাকার যুবকরা হাড় ও খুলিগুলো গুছিয়ে রাখেন। রবিবার দুপুরে পর্যন্ত ওই অবস্থায় মানুষের মাথার খুলিগুলো পড়ে ছিল।

ঝিনাইদহ জেলার সাবেক মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার ও বর্তমান সেক্টর কমান্ডারর্স ফোরামের সভাপতি কামালুজ্জামান বলেন, মহেশপুরে একাধিক গনকবর আছে। আমরা সেগুলো সংরনের জন্য উপজেলা প্রশাসনকে বলেছি।

তিনি আরো বলেন, মুক্তিযুদ্ধকালীন সময়ে মহেশপুরের খালিশপুরে ১৮ পাঞ্জাব ব্যটলিয়নের ক্যাম্প ছিল। তারা মহেশপুরের ভালাইপুর, হাসপাতালের পেছনে ও কলেজ মোড়ে কাঠের ব্রীজের নিচে বিভিন্ন স্থান থেকে মানুষ ধরে এনে হত্যা করতো। পরে তাদের গন কবর দিত। এটি সেই গনকবর।

তিনি বলেন, মহেশপুর ডাকবাংলোতে রাজাকাররা থাকতো। ডাকবাংলোর পাশেই রয়েছে কপোতাক্ষ নদ ও কাঠের ব্রীজ। এই গনকবর সেখানেই আবিস্কার হয়েছে। এতে সন্দেহাতীত ভাবেই বলা যায়, পাকিস্থান আর্মি ও রাজাকারদের হত্যাযজ্ঞের শিকার এসব সাধারণ মানুষ।

মহেশপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নয়ন কুমার রাজবংশী বলেন, আমি খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়েছিলাম। সেখানে মাথার খুলি ও হাড় দেখেছি। স্থানীয়দের সাথে কথা বলে জানা গেছে এটি মুক্তিযুদ্ধকালীন সময়ের চিহ্ন। সরকারী ভাবে আমরা এটা সংরণের ব্যবস্থা করব।

Facebook Comments Box

এই সাইটে নিজম্ব নিউজ তৈরির পাশাপাশি বিভিন্ন নিউজ সাইট থেকে খবর সংগ্রহ করে সংশ্লিষ্ট সূত্রসহ প্রকাশ করে থাকি। তাই কোন খবর নিয়ে আপত্তি বা অভিযোগ থাকলে সংশ্লিষ্ট নিউজ সাইটের কর্তৃপক্ষের সাথে যোগাযোগ করার অনুরোধ রইলো।