ঋতু পরিবর্তনে সর্দি-কাশি, জেনে নিন করণীয়
হঠাৎ করেই কমতে শুরু করেছে তাপমাত্রা। বেশ কয়েক দিন ধরে আট মাস বয়সি পিউ’র জ্বর। ঋতু পরিবর্তনে সর্দি-কাশি সঙ্গে হালকা বুকে ব্যাথাও আছে।
দিনের বেলায় রোদের কারণে বেশ গরম লাগলেও সন্ধ্যা হতেই কমতে শুরু করে তাপমাত্রা। সাথে আছে করোনাভাইরাস মত এক আতঙ্কের নাম। এই সময়ে বেড়েছে সর্দি-কাশির মতো অসুখের ঘটনাও।
প্রতি বছর ঋতু পরিবর্তনের এই সময়ে সর্দি-কাশি দেখা দেওয়া সাধারণ ঘটনা। তবে করোনা মহামারি শুরুর পর থেকে লক্ষণগুলো গুলিয়ে ফেলেন অনেকেই। কোনটি সাধারণ সর্দি-কাশি আর কোনটি করোনার লক্ষণ তা নির্ণয় করা কঠিন হয়ে পড়ে। তবে সর্দি-কাশিকেও অবহেলা করার সুযোগ নেই। কারণ এটি হতে পারে ইনফ্লুয়েঞ্জা কিংবা লং কোভিডের মতো সমস্যার লক্ষণ।
শিশু, গর্ভবতী মা’সহ সব বয়সিকে কাবু করছে ঋতু পরিবর্তনে সর্দি-কাশি। রাজধানী থেকে প্রত্যন্ত গ্রামে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা কমলেও চিন্তা বাড়াচ্ছে মৌসুমি রোগটি। চিকিৎসা কেন্দ্রগুলোতে জ্বর, সর্দি, কাশি, গায়ে-হাতে ব্যথা নিয়ে রোগীরা আসছেন। পরীক্ষা-নিরীক্ষায় কিছু মানুষের করোনা ও ডেঙ্গু ধরা পড়লেও অধিকাংশই ঋতু পরিবর্তনে সর্দি-কাশিতে আক্রান্ত।
সর্দি-কাশি কতদিন থাকে?
শ্বাসযন্ত্রের সংক্রমণ থকে সর্দি-কাশি হতে পারে। সংক্রমণের ২-৫ দিনের মধ্যে লক্ষণগুলো দেখা দিতে শুরু করে। বেশিরভাগ উপসর্গ ঠান্ডা, অ্যালার্জি বা করোনাভাইরাসের সঙ্গে মিলে যেতে পারে। তবে সাধারণ সর্দি-কাশি হলে তা ৫-৭ দিন স্থায়ী হবে। তবে যদি কেউ আগে থেকেই শ্বাসযন্ত্রের সমস্যায় ভোগেন বা যদি কারও রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা দুর্বল হয় তবে সেক্ষেত্রে পুরোপুরি সুস্থ হতে দুই সপ্তাহের মতো সময় লাগতে পারে। সংক্রমণ ভালো হয়ে যাওয়ার পরও সুস্থ হতে কিছুটা সময় লাগতে পারে।
ঋতু পরিবর্তনে সর্দি-কাশি তে করণীয়
সর্দি-কাশি থেকে দ্রুত মুক্তি পেতে এই কাজগুলো করুন-
ঘরে থাকুন, ফ্লু-র কারণে সৃষ্ট সাধারণ সর্দি-কাশি করোনাভাইরাসের তুলনায় অনেকটা কম সংক্রামক, তবুও বিশেষজ্ঞরা আক্রান্ত হলে বাড়িতে থাকার পরামর্শ দেন। এসময় বাড়িতে থাকা পর্যাপ্ত বিশ্রাম নেওয়া এবং ঘুমানো হতে পারে প্রাকৃতিকভাবে ফ্লু সারিয়ে তোলার সেরা কৌশল।
আরও পড়ুন
অসুস্থ ও স্বামী পরিত্যাক্ত মহিলা কুলসুমের পাশে ইউএনও বিতান কুমার মন্ডল।
নিজেকে ভালো করে হাইড্রেট করুন
এই সময়ে শরীরে আর্দ্রতা ধরে রাখা গুরুত্বপূর্ণ। পানি বেশি রয়েছে এমন খাবার এবং বিশুদ্ধ পানি খেতে হবে বেশি। কারণ এসময় শরীরে ডিহাইড্রেশন বা পানিশূন্যতা সৃষ্টি হলে তা আরও বেশি জটিলতা তৈরি করতে পারে। দ্রুত সুস্থ হওয়ার অন্যতম উপায় হলো পুষ্টিকর খাবার খাওয়া এবং পর্যাপ্ত পানি ও উপকারী পানীয় পান করা। প্রতিদিন অন্তত দুই-তিন লিটার পানি পান করুন। ডাবের পানি, স্যালাইন, লেবুর শরবত, ফলের রস ইত্যাদি খেতে পারেন।
আদা, লবঙ্গ, রসুন এসবে অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল উপাদান রয়েছে। এছাড়া চিনি ছাড়া লিকার চা কিংবা গ্রিন টি বেশ উপকারী। চিনির বদলে মধু ব্যবহার করতে পারেন। মধু দেহে তাপসঞ্চয়ে অনেকটা সাহায্য করে। এছাড়াও তুলসি পাতা ও লেবু দিয়ে চা বানিয়ে খেতে পারেন। এতেও ঋতু পরিবর্তনে সর্দি-কাশি দূর হবে।
ঋতু পরিবর্তনে সর্দি-কাশি তে ওষুধের ব্যবহার
সাধারণ সর্দি-কাশি হলে অনেকে নিজ থেকে ওষুধ কিনে খেয়ে নেন অথবা এমন কারও পরামর্শে ওষুধ খান যিনি কোনো চিকিৎসক নন। এই রকম ভুল একেবারেই করা যাবে না। কারণ ব্যক্তিভেদে ওষুধের ধরন / মাত্রা একেবারেই আলাদা হতে পারে। তাই যে ওষুধই খান না কেন, তার আগে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।