নতুন অপারেটিং সিস্টেমের জন্য কম্পিউটারে ন্যূনতম যা যা লাগবে, তার একটা তালিকা গত জুনে প্রকাশ করেছিল মাইক্রোসফট। সেখানে কম্পিউটারে অন্তত অষ্টম প্রজন্মের ইনটেল প্রসেসর থাকতে হবে বলে জানিয়েছিল এই সফটওয়্যার নির্মাতা প্রতিষ্ঠান। তবে সেটি মূলত উইন্ডোজ ১০ থেকে স্বয়ংক্রিয়ভাবে হালনাগাদের জন্য প্রযোজ্য।
মাইক্রোসফট এখন বলছে, ব্যবহারকারীরা চাইলে এর চেয়ে কম কনফিগারেশনের পুরাতন কম্পিউটারেও উইন্ডোজ ১১ ব্যবহার পারবেন। তবে সেটা ‘নিজস্ব ঝুঁকিতে’ করতে হবে। কারণ, সব ড্রাইভার সফটওয়্যার কিংবা সবকিছু ঠিকঠাক কাজ করবে কি না, তা নিশ্চিত করবে না মাইক্রোসফট। তা ছাড়া, এভাবে উইন্ডোজ ১১ ইনস্টল করার পরামর্শও দেবে না, বিজ্ঞাপনেও উল্লেখ করবে না প্রতিষ্ঠানটি। এমনকি ব্যবহারকারীরা তুলনামূলক কম কনফিগারেশনের কম্পিউটারে উইন্ডোজ ১১ ইনস্টল করলে নিয়মিত সফটওয়্যার হালনাগাদ না-ও পেতে পারেন বলে জানিয়েছে তারা।
সে যা হোক, মাইক্রোসফটের নতুন ঘোষণায় অন্তত একটি ব্যাপার সবার কাছে পরিষ্কার। লাখো কম্পিউটারে উইন্ডোজ ১১ ব্যবহার করা যাবে না বলে যে ধারণা আগে তৈরি হয়েছিল, মাইক্রোসফট সেখান থেকে সরে এসেছে। তবে উইন্ডোজ ১১ পেতে হলে ব্যবহারকারীকে মাইক্রোসফটের ওয়েবসাইট থেকে আইএসও ফাইল নামিয়ে উইন্ডোজ ১১ ইনস্টল করতে হবে। অনেক ব্যবহারকারীই হয়তো সেই কষ্ট করতে চাইবেন না।
মাইক্রোসফট অতি শিগগিরই এ ব্যাপারে আরও বিস্তারিত জানাবে বলে মনে করা হচ্ছে। আপাতত জেনে রাখুন, কম্পিউটারে দুই বা ততোধিক কোরের ১ গিগাহার্টজ ৬৪-বিট প্রসেসর, ৪ গিগাবাইট র্যাম এবং হার্ড ডিস্কে অন্তত ৬৪ গিগাবাইট স্টোরেজ ফাঁকা জায়গা থাকলে তাতে উইন্ডোজ ১১ ব্যবহার করা যাবে।
দিনবার্তা | সব সময়, সব খানে
এই সাইটে নিজম্ব নিউজ তৈরির পাশাপাশি বিভিন্ন নিউজ সাইট থেকে খবর সংগ্রহ করে সংশ্লিষ্ট সূত্রসহ প্রকাশ করে থাকি।
কোন খবর নিয়ে আপত্তি বা অভিযোগ থাকলে সংশ্লিষ্ট নিউজ সাইটের কর্তৃপক্ষের সাথে যোগাযোগ করার অনুরোধ রইলো।
Copyright © 2025 DinBarta. All rights reserved.