জিম্বাবুয়ে সফর থেকে ফিরে আসা বাংলাদেশ নারী ক্রিকেট দলের দুই সদস্যের দেহে করোনা ভাইরাসের অমিক্রন ভ্যারিয়েন্ট শনাক্ত হয়ছে।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালিক এটি নিশ্চিত করে বলেন যে, আক্রান্ত দুই ক্রিকেটারই এখন সুস্থ আছেন তবে তাদের কোয়ারেন্টিনে রাখা হয়েছে।
বর্তমানে দুই ক্রিকেটারকে মাঝে মধ্যেই পরীক্ষা করা হচ্ছে। কোয়ারেন্টিনে রাখা হয়েছে। বেশ কিছুদিন সময় লাগবে তাদের পুরোপুরি সুস্থ হতে। আমরা ২ সপ্তাহ দেখবো। পুরো সুস্থ হওয়ার পর তাদের ছাড়া হবে, ঢাকা শিশু হাসপাতালে এক অনুষ্ঠানের পর সাংবাদিকদের আলাপ কালে একথা বলেছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী।
স্বাস্থ্যমন্ত্রীর আনুষ্ঠানিক ঘোষণার মাধ্যমে দেশে এই প্রথম অমিক্রন ভ্যারিয়েন্ট শনাক্তের খবর পাওয়া গেল।
এ ভ্যারিয়েন্টটি সর্ব প্রথম শনাক্ত হয়েছিলো দক্ষিণ আফ্রিকায়।
আরও পড়ুন
এখন পর্যন্ত ৬২টি দেশে এটি ছড়িয়েছে অমিক্রন, যাকে ডেল্টা ভ্যারিয়েন্টের চেয়ে বেশি শক্তিশালী সংক্রামক বলা হলেও বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বলছে এর উপসর্গও প্রায় একই রকম।
অমিক্রন যেভাবে দেশে এলোঃ
আফ্রিকা মহাদেশের দেশ জিম্বাবুয়েতে প্রায় দেড় মাস আগে নারী ক্রিকেট দল গিয়েছিল বিশ্বকাপ বাছাইপর্বের খেলায় অংশ নিতে।
বিশ্বকাপ বাছাইপর্ব চলাকালীন অমিক্রন ছড়িয়ে পড়ায় বাছাইপর্ব তখন স্থগিত হয়েছিল, সেসময় র্যাংকিং বিচারে বাংলাদেশ নারী ক্রিকেট দল বিশ্বকাপের মূলপর্বে খেলার সুযোগ পায়।
পরে গত ১লা ডিসেম্বর ঢাকায় ফিরে আসে দলটি।
বিশ্বকাপে প্রথমবার এর মত সুযোগ পাওয়ার আনন্দে গত সপ্তাহেই একটি সংবর্ধনা দেয়ার কথা ছিল বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসান পাপনের।
কিন্তু এর মধ্যেই নারী ক্রিকেট দলটির দুই ক্রিকেটারের দেহে করোনা ভাইরাস শনাক্ত হলে সেই অনুষ্ঠান বাতিল করা হয়।
এরপর আজকে আনুষ্ঠানিকভাবে তাদের দেহে অমিক্রন ভ্যারিয়েন্ট শনাক্ত হওয়ার কথা জানানো হয়।
অমিক্রন সম্পর্কে আমরা এপর্যন্ত কী জানি?
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা ডাব্লিউএইচও (WHO) নতুন এই ভ্যারিয়েন্টের নাম দিয়েছে অমিক্রন।
গ্রিক বর্ণমালার আলফা, ডেল্টার মতোই নতুন এই ভ্যারিয়েন্টের কোড-নেম ঠিক করা হয়েছে অমিক্রন।
এই ভ্যারিয়েন্টটি মিউটেট বা তার রূপ পরিবর্তন করে যাচ্ছে অনেকভাবে।
দক্ষিণ আফ্রিকার সেন্টার ফর এপিডেমিক রেসপন্স অ্যান্ড ইনোভেশনের পরিচালক অধ্যাপক টুলিও ডি অলিভিয়েরা বলছেন,
এই ভ্যারিয়েন্টটি অনেক অস্বাভাবিকভাবে মিউটেট করেছে এবং এখন পর্যন্ত অন্য যেসব ভ্যারিয়েন্ট ছড়িয়েছে তার চেয়ে এটি বেশ অনেকখানিই আলাদা।
এটা আমাদের খুব অবাক করেছে, তিনি বলেন, বিবর্তনের জন্য এটা অনেক বড় বড় ধাপ পার হয়েছে। (কোভিড১৯ জীবাণুতে) সাধারণত যে ধরনের মিউটেশন দেখি এর মধ্যে সেটা অনেক বেশি দেখা গেছে।
সর্বশেষ এই ভ্যারিয়েন্টটি কোভিড জীবাণুর সবচেয়ে বেশি মিউটেট হওয়া সংস্করণ বলা যায়।
এর মিউেটশনের তালিকা এত দীর্ঘ যে একজন বিজ্ঞানী একে কঠিন ভয়াবহ বলে বর্ণনা করেছেন।