কলেজের মধ্যে বোরখা পরে একটি মেয়ে হেঁটে চলেছে আর তাঁর পিছনে একদল ছেলে, গলায় গেরুয়া স্কার্ফ পরে মেয়েটিকে লক্ষ্য করে স্লোগান দিচ্ছে ‘জয় শ্রীরাম। একসময় মেয়েটি ঘুরে দাঁড়িয়ে চিৎকার করে ওঠে ‘আল্লাহু আকবর’।
প্রতিবাদী ঐ ছাত্রীর নাম মুসকান খান।
আরও পড়ুনঃ খালেদার মুক্তির দাবিতে রাজধানীতে ছাত্রদলের মশাল মিছিল
মুহূর্তে ভাইরাল হয়ে যায় কর্ণাটকের এক কলেজের সেই ভিডিও। ৫ ফেব্রুয়ারি কর্ণাটক সরকার ‘সমতা, অখণ্ডতা এবং জনসাধারণের আইন-শৃঙ্খলাকে বিঘ্নিত করে’ এমন পোশাকের উপর নিষেধাজ্ঞা-সহ সমস্ত স্কুল ও কলেজে একটি ড্রেস কোড বাধ্যতামূলক করার আদেশ জারি করার পরে পুরো বিতর্কের সূত্রপাত হয়।
কর্ণাটকের হিজাব বিতর্কে সরব হয়েছেন বর্ষীয়ান গীতিকার ও চিত্রনাট্যকার জাভেদ আখতার, শাবানা আজমি, স্বরা ভাস্কর, হেমা মালিনী সহ আরও অনেকে।
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে নিজেদের ক্ষোভ উগড়ে দেন তাঁরা। হিজাব বিতর্কে উত্তাল হয়ে ওঠে গোটা দেশ।
বৃহস্পতিবার জাভেদ আখতার তাঁর টুইটে লেখেন, ‘আমি কখনই হিজাব বা বোরখা পরার পক্ষে ছিলাম না। আমি এখনও এরই পক্ষে আছি কিন্তু একইসঙ্গে এই গুন্ডারা যারা একটি মেয়েকে হিজাব পরার জন্য ভয় দেখানোর চেষ্টা করে এবং ব্যর্থ হয়, তাদের জন্য ধিক্কার। এটাই কী তাদের কাছে পুরুষত্বের ধারণা?’ ইনস্টাগ্রাম পোস্টে এর বিপক্ষে কঙ্গনা লিখেছেন, ‘যদি সত্যিই সাহস দেখাতে হয়, তাহলে আফগানিস্তানে গিয়ে বোরখা পরবেন না! স্বাধীনভাবে থাকতে শিখুন, খাঁচায় নিজেকে বন্ধ করে রাখবেন না।’ এরপরেই কঙ্গনাকে পাল্টা জবাব দেন শাবানা। তিনি লেখেন,’ভুল হলে আমাকে সংশোধন করুন কিন্তু আফগানিস্তান একটি ধর্মতান্ত্রিক রাষ্ট্র এবং আমি শেষবার যা দেখেছি তাতে মনে হয় ভারত একটি ধর্মনিরপেক্ষ গণতান্ত্রিক প্রজাতন্ত্র!’
হিজাব বিতর্কের মাঝেই ভাইরাল হয় একটি খবর। শোনা যায় ‘আল্লাহু আকবর’ স্লোগান দিয়ে নিজের ধর্মকে তুলে ধরার জন্য নাকি মুসকানকে ৩ কোটি টাকা দিয়েছেন অভিনেতা সালমান খান ও আমির খান।
এখানেই শেষ নয়, তাঁকে নাকি তুরস্কের সরকার ২ কোটি টাকা দেবে। একাধিক ইউটিউবার এই তথ্য শেয়ার করেছে, যাদের অনেকেরই সাস্ক্রাইবারের সংখ্যা লক্ষাধিক। এভাবেই ছড়িয়ে পড়তে থাকে খবর। কিন্তু খবরের সত্যতা যাচাই সংস্থা ‘ফ্যাক্টলি‘ এই খবর ভুয়া বা গুঁজব বলে ঘোষণা করে। তারা জানায়, মুসকানকে কেউ কোনও টাকা দেয়নি। এই খবর পুরোটাই রটনা।
বার্তা সূত্রঃ ZEE ২৪ ঘণ্টা