বৈজয়ন্ত বিশ্বাসের মহত উদ্যোগে বিনা অপরাধী কারাবন্দী ফিরে পেলো তার পরিবার। বিনা অপরাধে ঝিনাইদহ জেলা কারাগারে দুই বছর চার মাস ধরে বন্দির থাকার পর সন্ধান মিলল বাক প্রতিবন্ধী ব্যক্তির।
প্রতিবন্ধী ব্যক্তির নাম মৃনাল রায়(৪১)। তার বাড়ি নীলফামারী জেলার সদর উপজেলার দক্ষিন চওড়া গ্রামে।
কুষ্টিয়ার খোকসার কৃতি সন্তান ঝিনাইদহের অতিঃ চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট বৈজয়ন্ত বিশ্বাসের (ভিক্টর) বিষয়টি নজরে আসার পর বন্দি ব্যক্তির নাম-পরিচয় খুঁজে বের করার জন্য সংশ্লিষ্টদের প্রতি নির্দেশ দেন।
গত ৩১ জুলাই আদালতের (অতিরিক্ত চিফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট) দেওয়া আদেশমতে- টেকনাফ, কক্সবাজার, উখিয়া, ভাসানচর থানার ওসিসহ ৩৪টি রোহিঙ্গা ক্যাম্পে তার ছবি পাঠানো হয়।
ওই আদেশে বন্দি লোকের সঠিক ঠিকানা খুঁজে পেতে নোয়াখালী, কক্সবাজার জেলা প্রশাসক এবং পুলিশ সুপার ও এপিবিএন কমান্ডারদের নির্দেশ দেয়া হয়।
উল্লেখ্য, বিনা অপরাধে ঝিনাইদহ জেলা কারাগারে দুই বছর চার মাস ধরে বন্দি আছেন এক ব্যক্তি। তার বিরুদ্ধে কোনো মামলা নেই। পরিচয় না মেলায় তাকে নিয়ে কারা কর্তৃপক্ষ পড়েছেন বিপাকে।
৪৪ বছর বয়সী এই যুবক দেখতে অনেকটা রোহিঙ্গাদের মতো। তার মুখে দাড়ি রয়েছে। ঘটনাটি জানাজানি হওয়ার পর জেলায় তোলপাড় শুরু হয়েছে।
আদালতের নথি থেকে পাওয়া তথ্যে উল্লেখ করা হয়েছে- ২০১৯ সালের ১৪ নভেম্বর ঝিনাইদহ সদর উপজেলার নগরবাথান এলাকা থেকে ওই ব্যক্তিকে উদ্ধার করে পুলিশ। এ সংক্রান্তে সদর থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করা হয়। জিডির ভিত্তিতে থানার এসআই মোহাম্মদ ইউনুচ আলী গাজী ওই ব্যক্তিকে আদালতে হাজির করে নিরাপত্তা হেফাজতে রাখার জন্য আবেদন জানান।
আদালত আবেদন মতে জেলা কারাগারের নিরাপত্তা হেফাজতে রাখার নির্দেশ দেন। সেই থেকে (২০১৯ সালের ১৪ নভেম্বর) কারাগারেই রয়েছেন অজ্ঞাতনামা এই ব্যক্তি। তার বিরুদ্ধে পরবর্তী সময়ে কোনো মামলাও দেওয়া হয়নি। অর্থাৎ বিনা মামলা ও বিচারে বছরের পর বছর বন্দি রয়েছেন তিনি।
ঝিনাইদহ জেলা কারাগারের সুপার আনোয়ার হোসেন বিষয়টি নিশ্চিত করেন। তিনি জানান, লোকটির ভাষা বোঝা যায় না। কথা বলেন কম। মাথা নেড়ে অভিব্যক্তি জানান। তিনি মানসিক ভারসাম্যহীন কিনা তা পরীক্ষা করাতে খুলনা মেডিকেলেও নেওয়া হয়েছে তাকে। চিকিৎসকরা তাকে সুস্থ বলে মত দিয়েছেন।
এদিকে বিষয়টি নজরে আসার পর ঝিনাইদহের অতিরিক্ত চিফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট বৈজয়ন্ত বিশ্বাস বন্দি ব্যক্তির নাম-পরিচয় খুঁজে বের করার জন্য সংশ্লিষ্টদের প্রতি নির্দেশ দেন। ৩১ জুলাই আদালতের (অতিরিক্ত চিফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট) দেওয়া আদেশমতে- টেকনাফ, কক্সবাজার, উখিয়া, ভাসানচর থানার ওসিসহ ৩৪টি রোহিঙ্গা ক্যাম্পে তার ছবি পাঠানো হয়।