কুষ্টিয়া জেলার খোকসা উপজেলায় ফেসবুকে পোস্ট দেখে বৃদ্ধাকে ঘর দিলেন মানবিক ইউএনও রিপন বিশ্বাস।
স্বামী মারা গেছে বছর খানেক আগে, শেষ সম্বল টুকু বিক্রয় করে তার চিকিৎসা শেষে আমি এখন নিঃস্ব; মানুষের দ্বারে দ্বারে এখন চায়ে চিনতে খাই, রাত হলে কোন এক দোকানের বারান্দার নিচে ঘুমিয়ে পড়ি। এভাবেই ষাট ঊর্ধ্ব এক বৃদ্ধ বলতে থাকেন।
বৃদ্ধা সুকজান খাতুন (৬৫) এই অমানবিক জীবনযাপন নিজের ফেসবুক ওয়ালে তুলে ধরেছিলেন তরুণ সাংবাদিক ও সমাজকর্মী খোকসা রিপোর্টার্স ক্লাব সংগঠন।
সেই পোস্ট দেখে খোকসায় অসহায় বৃদ্ধার জন্য প্রধানমন্ত্রীর আশ্রয়ণ প্রকল্পের একটি ঘরের ব্যবস্থা করেন মানবতার ফেরিওয়ালা খোকসা উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) রিপন বিশ্বাস।
আরও পড়ুনঃ কুষ্টিয়ার খোকসায় সাপে কেটে বৌ-শাশুড়ির মৃত্যু
বুধবার (৭সেপ্টেম্বর) ইউএনও অফিস কার্যালয়ে বৃদ্ধা সুখযান বেগমকে ডেকে নিয়ে শোমসপুর আশ্রয়ণ প্রকল্পে একটি ঘর বরাদ্দ করে দেন।
সে সময় উপস্থিত ছিলেন উপজেলা সহকারী কমিশনার ভূমি মোঃ ইসহাক আলী, সাংবাদিক শেখ সাইদুল ইসলাম প্রবীণ এস. মিলন, ফিরোজ আহমেদ, বদরুল আলম বাদশা খান, প্রমুখ।
ঘর পেয়ে খুশিতে অশ্রুসিক্ত হয়ে পড়েন সুখযান খাতুন। অনুভূতি প্রকাশ করে তিনি বলেন, আমার দুইটা প্রতিবন্ধী ছেলে আছে, আমি ভিক্ষা করে খাই অনেক দুঃখে কষ্টে ছিলাম এখন অন্তত মাথা গোজার একটু ঠাই হলো। আপনারা আমার পাশে দাঁড়াইছেন, আমি অনেক খুশি। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ধন্যবাদ।
মানবতার (ইউএনও) রিপন বিশ্বাস বলেন, ফেসবুকে সাংবাদিক এস.মিলনের পোস্টটি আমার নজরে এলে আমি অসহায় বৃদ্ধার জন্য ঘর দেওয়ার উদ্যোগ নেই। ওই বৃদ্ধার আসলে পরিবারে দুইটি প্রতিবন্ধী ছেলে আছে। খুবই অসহায় বলা চলে। তাই আমি প্রধানমন্ত্রীর আশ্রয়ণ প্রকল্পের তৃতীয় পর্যায়ের একটি উন্নতমানের ঘরের ব্যবস্থা করে দেই, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও তার সুযোগ্য কন্যা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার স্বপ্ন কেউ গৃহহীন থাকবে না।