কুমারখালীর উদয়নাতুরিয়া গ্রামের জালাল মিলিটারির ছেলে কিলার খ্যাত, ধর্ষণ মামলার আসামি শাজাহান সহ তার সহকর্মীরা বীরদাপটে ঘুড়ে বেড়ালেও পুলিশ গ্রেফতার করতে গড়িমসি করছে।
ধর্ষণের সময়সীমা ১ মাস ১২ দিন পেরিয়ে গেলেও ধর্ষণের মূলহোতা শাজাহান সহ তার সহকর্মীদের গ্রেফতার করতে গড়িমসি করছে কুমারখালী থানা পুলিশ।
ঘটনার বিবরণে ২৬ জুলাই বাগুলাট ইউনিয়নের উদয় নাতুরিয়া গ্রামের জালাল মিলিটারির ছেলে শাজাহান আলীর নেতৃত্বে উদয়নাতুরিয়া গ্রামের ন্যাংটা পীর সাহেবের মাজার প্রাঙ্গণে ২সন্তানের জননী ছদ্মনাম (নাসিমা) কে একধিকবার জোরপূর্বক গণধর্ষণ করেছেন শাজাহান সহ পোষিত সহকর্মীরা।
আরও পড়ুনঃ কুষ্টিয়ার খোকসায় সাপে কেটে বৌ-শাশুড়ির মৃত্যু
পরেরদিন ধর্ষণের শিকার ছদ্দনাম নাসিমা কুমারখালি থানায় একটি এজাহার দায়ের একজনের নাম সহ অঙাত কয়েকজনের নামে এজাহার দায়ের করেন কুমারখালি থানা পুলিশ দুই জন কে আটক করলেও মূল হোতা শাজাহান সহ বাকি আসামিদের বিরুদ্ধে কোন আইনি পদক্ষেপ নেয় নি এদিকে বাকি আসামিরা বীরদাপটে ঘুরে বেরালেও কুমারখালি থানা পুলিশ তাদের কে গ্রেফতার করতে অক্ষম।
এই দিকে ধর্ষণের কোন বিচার না পেয়ে পুলিশ সহ সাধারণ মানুষের দ্বারে দ্বারে বিচারের আশায় ঘুরে বেড়াচ্ছে ভিকটিম ছদ্মনাম (নাসিমা)। এই বিষয়ে ভিকটিম ছদ্মনাম (নাসিমার) সাথে কথা হলে তিনি বলেন উদয়নাতুরিয়া গ্রামের শাজাহান সহ তার সহকর্মীরা তাকে ধর্ষণ করেও কাউকে তোয়াক্কা না করে বীরদাপটে ঘুরে বেড়াচ্ছে।
তিনি বলেন শাজাহানের পরিবার প্রভাবশালী হওয়ায় পুলিশ তাকে সহ তার সহকর্মীদের গ্রেফতার করতে গড়িমসি করছে।
উদয়নাতুরিয়া গ্রামের সাধারণ মানুষের মাঝে ধর্ষণের বিষয়টি নিয়ে মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা যাচ্ছে। তারা বলেছেন ধর্ষণের মূল হোতা শাজাহানের পিতা জালাল মিলিটারি একজন প্রভাবশালী ব্যাক্তি।
তিনি আরো বলেন মামলাটি ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। ঐ নারী বিষয় টি কুষ্টিয়ার পুলিশ সুপার জনাব খায়রুল আলম স্যারের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছে।