কিশোরগঞ্জের কুলিয়ারচর উপজেলায় বন্ধুর ১৪ বছর বয়সী কিশোরী মেয়েকে ধর্ষণ করে বিল্লাল মিয়া (৪৫)। ধর্ষণে মেয়েটি অন্তঃসত্ত্বা হয়। এ অভিযোগে তাকে গ্রেফতার করে বৃহস্পতিবার দুপুরে কিশোরগঞ্জের আদালতে সোপর্দ করেছে পুলিশ।
আদালতের নির্দেশে বিকালে তাকে কিশোরগঞ্জ জেলা কারাগারে পাঠানো হয়েছে। বিল্লাল মিয়া কুলিয়ারচর উপজেলার রামদী গ্রামের মৃত আব্দুল হাসিমের ছেলে।
আরও পড়ুনঃ ৫ম শ্রেণীর ছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগ
জানা গেছে, বাবার পরিচয়ে বিল্লাল মিয়া প্রায়ই ওই কিশোরীর বাড়িতে আসা-যাওয়া করত। একদিন ওই কিশোরীর শরীরে জ্বর নিয়ে ঘরে ঘুমিয়ে ছিল। ওই সময় কিশোরীর সৎমা ছোট বোনকে আনতে পাশের গ্রামে খালার বাড়িতে যান। আর কিশোরীর বাবা তখন ঢাকায় অবস্থান করছিলেন।
এ সুযোগে বিল্লাল মিয়া ঘরে ঢুকে কিশোরীকে মেরে ফেলার ভয় দেখিয়ে জোরপূর্বক ধর্ষণ করে। ঘটনার চার-পাঁচ মাস পর ওই কিশোরীর শারীরিক সমস্যার জন্য মেডিকেল টেস্ট করালে জানতে পারে ধর্ষণে কিশোরী অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়ছে।
এ ঘটনাটি জানাজানি হলে কিশোরীকে মেরে ফেলবে এমন হুমকি দেয় বিল্লাল মিয়া। তাই ভয়ে এবং লোকলজ্জায় এতদিন সে মুখ বন্ধ রাখে।
শেষ পর্যন্ত বুধবার রাতে কিশোরীর বাবা বাদী হয়ে কুলিয়ারচর থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে একটি মামলা করেন। পুলিশ রাতেই অভিযান চালিয়ে পার্শ্ববর্তী বাজিতপুর উপজেলার ভাগলপুর এলাকা থেকে ধর্ষক বিল্লাল হোসেনকে গ্রেফতার করে।
কুলিয়ারচর থানার ওসি মোহাম্মদ গোলাম মোস্তফা জানান, বুধবার রাতে এ ঘটনায় মামলা রুজুর পর তথ্যপ্রযুক্তির সহায়তায় বিল্লাল মিয়াকে গ্রেফতার করা হয়। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে ধর্ষক মো: বিল্লাল মিয়া ধর্ষণের কথা স্বীকার করেছেন বলেও জানিয়েছেন ওসি।