কুষ্টিয়া জেলার খোকসা উপজেলার বেতবাড়িয়া ইউনিয়ন ঘেষে যাওয়া গড়াই নদীর উপর চাঁদট খেয়াঘাট থাকলেও নেই পারাপারের সুব্যবস্থা।
জনসাধারণের নদী পারাপারে ভোগান্তিতে চরম আকার ধারণ করেছে। শিশু থেকে শুরু করে বৃদ্ধ পর্যন্ত নিজেদের কাজ কর্ম ও গন্তব্যে পৌঁছাতে এই নদী পারাপার হতে হয় তাদের। এই ঘাট পার হয়ে কুষ্টিয়া জেলার সাথে ঝিনাইদাহ, মাগুরা, যশোরসহ অন্যান্য জেলায় লোকজন যাতায়াত করে থাকে। খেয়াঘাটে নৌকা না থাকায় চরম ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে তাদের।
আরও পড়ুনঃ সাংবাদিক রুবেল হত্যা সন্দেহের তীর উপজেলা চেয়ারম্যান কামারুল আরেফিন’র দিকে
জানা গেছে , স্থানীয় আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে আগের ইজারাদার ও বর্তমান ইজারাদারের মধ্যে ক্রোন্দোলের কারণে এই ঘাট দিয়ে পারাপার বন্ধ রয়েছে।
সরজমিন গেলে দেখা যায়, ১৫ দিন যাবত পারাপার বন্ধ রয়েছে। অনেকই আসছেন পারাপারের জন্য কিন্তু পারাপারের ব্যবস্থা না থাকায় ফিরে যাচ্ছেন তারা।
এই ঘাট দিয়ে পার হতে আসা লাবিব নামের ঝিনাইদহ ক্যাডেট কলেজের একজন ছাত্র জানান, বাড়িতে আসা যাওয়ার জন্য সচারাচর এই ঘাট দিয়ে পারাপার হয়ে থাকি। এসে দেখি পারাপারের ব্যবস্থা নেই । ইমেডিয়েট আমার কলেজে পৌঁছাতে হবে। এতে আমার সময় নষ্ট হচ্ছে। এভাবে চলতে থাকলে অনেকেরই সময় নষ্ট হবে। ইমিডিয়েট এর একটা সমাধান চান তিনি।
আরও পড়ুনঃ পুলিশ লাইন্স ব্যারাকের ছাদ থেকে পুলিশের গুলিবিদ্ধ মরদেহ উদ্ধার
ওই গ্রামের অটোরিক্সা চালক শাহিন বলেন, আমার পুরো সংসার চলে এই ঘাট দিয়ে পারাপারের যাত্রীদের উপর। আমি অটো চালিয়েই খাই। তিনি আরো বলেন, এই ঘাট বন্ধ হবার কারণে সংসারের অচলাবস্থা হয়ে পড়েছে। এরকম কয়েকশত পরিবার দূরঅবস্থায় দিন কাটাচ্ছে।
খোকসা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সৈয়দ আশিকুর রহমান জানান, বিষয়টি আমি অবগত। যত দ্রুত সম্ভব সমস্যা সমাধানের আশ্বাস দেন তিনি।
এ বিষয়ে কথা হয় খোকসা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) রিপন বিশ্বাস এর সাথে তিনি বলেন, আমি বিষয়টি জেলা পরিষদকে অবহিত করেছি। অচিরেই এই সমস্যা সমাধান হবে বলে জানান তিনি।