দেশে গত ২৪ ঘণ্টায় করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে আরো ১ জনের মৃত্যু হয়েছে। এ পর্যন্ত দেশে ২৮ হাজার ৯৮ জনের মৃত্যু হয়েছে। এ সময় নতুন করে শনাক্ত হয়েছেন ১,১৪৬ জন। যার ফলে সর্বোমোট শনাক্তের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১৫,৯১,০৯৩ জনে। শনাক্তের হার ৫ শতাংশের ওপরে।
শুক্রবার (৭ জানুয়ারি) বিকেলে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর থেকে পাঠানো এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়
জার্মান একটি সংস্থার প্রতিবেদন অনুযায়ী দেশে ওমিক্রন আক্রান্তের সংখ্যা ২০ বলা হলেও প্রকৃত সংখ্যা আরও বেশি বলেই মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।
আরও পড়ুন
তাদের মতে, দেশে প্রতিনিয়ত সংক্রমণ বাড়ার পেছনে ডেল্টা ও ওমিক্রন দুটি ধরনেরই প্রভাব রয়েছে। কমপক্ষে এক মাস দেশের সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, পর্যটনকেন্দ্র, নির্বাচনসহ জনসমাগমস্থল বন্ধ রাখার পরামর্শ বিশেষজ্ঞদের।
আইইডিসিআরের প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ডাঃ এএসএম আলমগীর বলেন, ওমিক্রনে আক্রান্ত ২০ জনের রিপোর্ট পেয়েছি। কিন্তু দেশের বিভিন্ন জায়গায় এ ভ্যারিয়েন্টে আক্রান্ত আরও রোগী থাকতে পারে। হয়তো তারা আমাদের শনাক্তের আওতায় নেই।
দীর্ঘদিন শনাক্তের হার ১ থেকে ২ শতাংশে থাকলেও বর্তমানে তা বেড়েই চলছে। এর কারণ শুধু ওমিক্রনই নয় সাথে ডেল্টাকেও দায়ী করছেন বিশেষজ্ঞরা।
ডাঃ এএসএম আলমগীর বলেন, এখন যে সংক্রমণ হচ্ছে, তার একটা সংখ্যা নিশ্চিতভাবেই ওমিক্রন দিয়ে শনাক্ত হচ্ছে। ওমিক্রন ক্রমান্বয়ে বাড়তে থাকবে, এটাই স্বাভাবিক। কিন্তু এখনো ডেল্টাকে রিপ্লেস করতে পারেনি। এখনও পর্যন্ত ডেল্টা প্রধানত বিস্তার করছে।
তবে আক্রান্তের হার বাড়ার পেছনে দীর্ঘদিন ধরে মানুষের স্বাস্থ্যবিধি উপেক্ষাসহ সামাজিক-সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান, পর্যটন কেন্দ্রগুলোতে উপচেপড়া ভিড়কে দায়ী করছেন বিশেষজ্ঞরা।
জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক আতিকুল ইসলাম বলেন, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান এক মাসের জন্য বন্ধ রাখা যেতে পারে। সমাজে যেসব বিষয়ে জনসমাগম হয়ে থাকে, সেসব কিছুই আপাতত কমপক্ষে এক মাসের জন্য স্থগিত করে দেওয়া উচিত।