৮টি ছবির মাধ্যমে তুলে ধরছেন একজন কবির কাব্যচিত্র
ছবি এবং ভাবনা – নাহিদুজ্জামান শয়ন
মডেল এবং লেখা – কবিতা চাষী
শহরে এখন যান্ত্রিকতার ব্যস্ত মিছিল, সবুজ সবুজ বয়স্ক বৃক্ষগুলোকে হত্যা করছে একদল অক্সিজেন হত্যাকারী।
ইট-পাথর-সিমেন্ট দিয়ে গড়ে তুলছে আধুনিক বাসস্থান, ওদিকে শহর ছেড়ে পালিয়েছে সুখপাখির দল।
শহরে আজকাল শব্দ নেই, উত্তাপ নেই, নেই কুয়াশার চাদর। তাই অগত্যা!! তোমার কাছে ছুটে আসা।
তুমি আমাকে শব্দ দাও, কবিতা দাও, প্রকৃতি দাও এক নারীর মত!
আমি তোমারি আরাধনায় মত্ত হে বসুন্ধরা প্রেমিকা আমার।
আমি একজন দরিদ্র প্রানী, মানুষ জাতি হিসেবে, আমাকে এই চকচকে রঙ্গীন পৃথিবী বিচরনে পাঠিয়েছেন ভাগ্য বিধাতা।
একজন মায়ের শরীরে যেমন মধুময় ঘ্রাণ। এক ষোড়শী প্রেমিকার শরীরে যেমন মাদকতার সুগন্ধি, তেমনি শারদের শিউলির ঘ্রাণ হারিয়ে যেতে যেতেই হেমন্তে প্রতিটা ধানের ক্ষেত হয়ে যায় আমার মা-আমার প্রেমিকা-আমার সন্তান। আমি মুঠো ভরে, শিশুর মত, নাক ডুবিয়ে ঘ্রাণ নিতে চাই তোমার শরীরের। তুমি কোন মাদক বহন করো শরীরে?
পশ্চিমে যখন দুলেছে সময়, দুপুর তখন শেষের দিকে। পাখিরা যেমন ঘরে ফেরে সুখের আশায়, আমিও তেমন ঘরে ফিরি একবুক শব্দ আর ক্ষুদা নিয়ে। আচ্ছা শব্দ কি বিক্রি করা যায়!!